ইউক্রেনের জ্বালানি পরিকাঠামোয় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার ৷ প্রাণ হারালেন ৬ জন ৷ আহতের সংখ্যা ১৮ ৷ অভিযানের জেরে বৃহস্পতিবার দেশের সব অঞ্চলেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে ৷ তার ফলে একাধিক বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
মস্কোর এই হামলাকে ইউক্রেন 'জ্বালানি সন্ত্রাস' হিসেবে বর্ণনা করেছে। মৃতদের মধ্যে আছে সাত বছর বয়সি একটি শিশু কন্যাও। আহত ১৮ জনের প্রত্যেকের বয়স ২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে । প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, "রাশিয়া এই হামলায় ৬৫০টিরও বেশি ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরণের 50টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।"
হামলার জেরে হওয়া বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ইউক্রেনের শহরগুলিতে জল সরবরাহ থেকে শুরু করে নিকাশি ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়েছে ৷ একইসঙ্গে প্রায় চার বছর ধরে লাগাতার হামলার জেরে ইউক্রেনের মনোবল অনেকটাই ভেঙে পড়েছে বলেও দাবি বিভিন্ন মহলের ৷ পাশাপাশি নতুন অস্ত্র ও অন্য সরঞ্জাম তৈরি এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রয়োজন কার্যকলাপও ব্যাহত হচ্ছে এই হামলার জেরে। প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো বলেছেন, “রাশিয়া তার শক্তি সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে ৷ শীতের প্রাক্কালে ইউক্রেনের নাগরিকদের জীবন এবং মর্যাদার উপরও আঘাত করছে তারা। হামলার লক্ষ্য ইউক্রেনকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া ৷ আর আমাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের জন্য আলো জ্বালিয়ে রাখা ৷”
তিনি আরও বলেন, “এই সন্ত্রাস বন্ধ করতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হওয়া দরকার ৷ তাছাড়া রাশিয়া যাতে হামলা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তার জন্য আন্তর্জাতিক স্তর থেকে সর্বাধিক চাপ আসাও প্রয়োজন ৷” শান্তি মীমাংসার জন্য রাশিয়াকে আলোচনায় বসাতে আমেরিকার ব্যর্থ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের স্লোভিয়ানস্ক শহরে রাশিয়ার হামলায় দুই পুরুষ এবং এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ৷ আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভাদিম লিয়াখ জানিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে। তাতে দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে হামলায় ১৭ জন আহত হয়েছেন।
জাপোরিঝিয়া আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ইভান ফেডোরভের মতে, উদ্ধারকারীরা একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ৷ ইউক্রেনের মধ্য-পশ্চিম ভিনিৎসিয়া অঞ্চলে আহত অবস্থায় একটি বাচ্চা মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ তাছাড়া পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে পশ্চিম লভিভ অঞ্চলে দুটি জ্বালানি পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পোলিশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার আক্রমণের জেরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পোলিশ এবং মিত্র ন্যাটো বিমানগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পোল্যান্ডের এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেস এজেন্সি জানিয়েছে, সামরিক অভিযান নিশ্চিত করার জন্য রাডোম এবং লুবলিনের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
                           মস্কোর এই হামলাকে ইউক্রেন 'জ্বালানি সন্ত্রাস' হিসেবে বর্ণনা করেছে। মৃতদের মধ্যে আছে সাত বছর বয়সি একটি শিশু কন্যাও। আহত ১৮ জনের প্রত্যেকের বয়স ২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে । প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, "রাশিয়া এই হামলায় ৬৫০টিরও বেশি ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরণের 50টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।"
হামলার জেরে হওয়া বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ইউক্রেনের শহরগুলিতে জল সরবরাহ থেকে শুরু করে নিকাশি ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়েছে ৷ একইসঙ্গে প্রায় চার বছর ধরে লাগাতার হামলার জেরে ইউক্রেনের মনোবল অনেকটাই ভেঙে পড়েছে বলেও দাবি বিভিন্ন মহলের ৷ পাশাপাশি নতুন অস্ত্র ও অন্য সরঞ্জাম তৈরি এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রয়োজন কার্যকলাপও ব্যাহত হচ্ছে এই হামলার জেরে। প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেনকো বলেছেন, “রাশিয়া তার শক্তি সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে ৷ শীতের প্রাক্কালে ইউক্রেনের নাগরিকদের জীবন এবং মর্যাদার উপরও আঘাত করছে তারা। হামলার লক্ষ্য ইউক্রেনকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া ৷ আর আমাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের জন্য আলো জ্বালিয়ে রাখা ৷”
তিনি আরও বলেন, “এই সন্ত্রাস বন্ধ করতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হওয়া দরকার ৷ তাছাড়া রাশিয়া যাতে হামলা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তার জন্য আন্তর্জাতিক স্তর থেকে সর্বাধিক চাপ আসাও প্রয়োজন ৷” শান্তি মীমাংসার জন্য রাশিয়াকে আলোচনায় বসাতে আমেরিকার ব্যর্থ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের স্লোভিয়ানস্ক শহরে রাশিয়ার হামলায় দুই পুরুষ এবং এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ৷ আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভাদিম লিয়াখ জানিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে। তাতে দক্ষিণ জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে হামলায় ১৭ জন আহত হয়েছেন।
জাপোরিঝিয়া আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ইভান ফেডোরভের মতে, উদ্ধারকারীরা একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ৷ ইউক্রেনের মধ্য-পশ্চিম ভিনিৎসিয়া অঞ্চলে আহত অবস্থায় একটি বাচ্চা মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ তাছাড়া পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে পশ্চিম লভিভ অঞ্চলে দুটি জ্বালানি পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পোলিশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার আক্রমণের জেরে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পোলিশ এবং মিত্র ন্যাটো বিমানগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পোল্যান্ডের এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেস এজেন্সি জানিয়েছে, সামরিক অভিযান নিশ্চিত করার জন্য রাডোম এবং লুবলিনের বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
 
  আন্তজার্তিক ডেস্ক
 আন্তজার্তিক ডেস্ক  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                